রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ- ডিসিএ’র বোর্ডসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি এবং অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এ কাজ রাতারাতি সম্ভব নয়। এজন্য আবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কাজ সিটি করপোরেশন ও ডিসিএ’র সহযোগিতায় পুলিশ পালন করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জন্য কম্প্রিহেনসিভ ট্রান্সপোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, রিং রোড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে।’
কাদের বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে আন্ত-বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়া হবে। এ জন্য স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ পরিবহনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহানগরীর যেসব স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইক চলাচল করছে, সেসব এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পুলিশ এসব যানবাহন বন্ধের কাজ করবে। রাজউক থেকে ভবনের অনুমোদনের সময় ডিটিসিএ’র ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এছাড়া, বাস-বে নির্মাণের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কাদের বলেন, ‘ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদ করে সিটি ফরেস্ট নির্মাণ করবে করপোরেশন।’ আর ধুলাদূষণের জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতর কাজ করছে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।