বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পেয়ে বসেছে: আইনমন্ত্রী

 

‘নিপীড়ন বিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকনুসরাত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও এর দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির ঘটনা আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পেয়ে বসেছে। তাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমতা ফিরিয়ে এনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এফডিসিতে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে ‘নিপীড়নবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নুসরাত হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নুসরাত হত্যার সবচেয়ে বড় মেসেজটি হচ্ছে, কেউ যদি কোনও নারীর প্রতি সহিংসতা ঘটায়, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ সাজা গ্রহণে প্রস্তুত থাকতে হবে। সমাজ তাকে ক্ষমা করবে না।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাক্ষ্য আইন অনেক পুরনো, সেটাকে আধুনিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড আবার জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড, দুটোই সত্য। বিচার বিভাগকে এই দুটি থিম লাইনের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন, এই স্বাধীনতায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘নুসরাত এক বীর প্রতীক। এক প্রতিবাদী মেয়ে। নুসরাতের মতো আর কোনও ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। নুসরাতের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সোনাগাজীর যে মাদ্রাসায় সে পড়তো, সেই মাদ্রাসার নামকরণ নুসরাতের নামে করা হোক।’ তার মারা যাওয়ার দিন ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ‘নিপীড়নবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান কিরণ।

‘নুসরাত হত্যার দ্রুত বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক চূড়ান্ত এই ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সমান নম্বর পেয়ে ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়।