সেলিম রেজা বলেন, ‘সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যাতে আমাদের দূতাবাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকে, সে ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছি। আমাদের দেশ থেকে এখন যে নারীকর্মীরা যাচ্ছে, তাতে দূতাবাসের কোনও অ্যাপ্রুভাল সিস্টেম বর্তমানে নেই। কিন্তু আমরা মিটিংয়ে বলেছি, ‘মোসানেদ’ সিস্টেমে দূতাবাসকেও একটা অ্যাপ্রুভাল উইন্ডো দিতে হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে। তবে যেহেতু এটা একটি টেকনিক্যাল ব্যাপার, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি রাস্তা বের করবে বলে জানিয়েছে।’
সেলিম রেজা আরও বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং আমরা যার যার সাইড থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা আলোচনা করেছি। আমাদের এখন যে নীতিমালা আছে, তা সংশোধন করছি। তাতে রিক্রুটমেন্ট সিস্টেমে আমরা একটি বড় ধরনের পরিবর্তন করবো। এটা আমরা শিগগিরই করবো, সৌদি কর্তৃপক্ষও তাদের সিস্টেম রিফর্ম করবে যাতে আরও সুসঙ্গত হয়।’
এছাড়া ভিসা ট্রেডিংয়ের বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে তাদের সাইড থেকেও ভিসা ট্রেডিংয়ের মতো কাজ হয়। আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং আমি বিষয়টি তুলে ধরেছি। তারা বলেছে তাদের পক্ষ থেকে এটা বন্ধে পদক্ষেপ নেবে। এই বিষয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, অতিরিক্ত সচিব মো. নাজীবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, যুগ্ম সচিব জাহিদ হোসেন, যুগ্ম সচিব মো. সারোয়ার আলমসহ অনেকে।