কুয়াশা নাকি বায়ুদূষণ—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুয়াশা কিছুটা থাকলেও এখন আকাশের যে পরিস্থিতি, তার জন্য দায়ী বায়ুদূষণ। এদিক দিয়ে আজ (সোমবার) সকালে ঢাকা তৃতীয় অবস্থানে ছিল। তখন ঢাকার বায়ুর মান সূচক ছিল ২৪৪, যা মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। দুপুর ১২টার পর তা কিছুটা কমে এখন সূচক দাঁড়িয়েছে ১৯৪-এ। এটিও খুব ভালো নয়, অস্বাস্থ্যকর।’
তিনি বলেন, ‘বারবার বলার পর কয়েকদিন রাস্তায় রাস্তায় পানি দেওয়ায় দূষণ কিছুটা কমেছিল। কিন্তু আজ আবার সেটা বেড়ে চরম আকার ধারণ করেছে। এটি থেকে প্রতিকার পেতে হলে পানি ঢালা বন্ধ করা যাবে না।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছয় ধরনের পদার্থ এবং গ্যাসের কারণে ঢাকায় দূষণের মাত্রা সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে। এরমধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫ এর কারণেই ঢাকায় দূষণ অতিমাত্রায় বেড়ে গেলেই পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, শীত মৌসুমে কুয়াশা পড়া স্বাভাবিক।
এত বেলায় কুয়াশা পড়ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা শীতের কারণেই হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে যাবে কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছেন, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকা বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৫ ডিগ্রি, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনায় ১৫.৩ ডিগ্রি, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৫ ডিগ্রি, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১২.৬ ডিগ্রি, রাজশাহীর বদলগাছিতে ১৩.২ ডিগ্রি, খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোরে ১৬ ডিগ্রি এবং বরিশালে ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় ঘন বা মাঝারি কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র মাঝারি বা হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।