অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মরদেহ দান করা হবে

অধ্যাপক অজয় রায়একুশে পদকপ্রাপ্ত পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার মরদেহ দান করা হবে। তার ছোট ছেলে অনুজিত রায় জানান, বাবার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী গবেষণার জন্য বারডেম কর্তৃপক্ষকে মরদেহ দান করা হবে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বারডেমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজয় রায় মারা যান। বারডেমের পরিচালক ফরিদ কবির বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’

অধ্যাপক অজয় রায় বারডেম হাসপাতালে দুই সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যা, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ২৫ নভেম্বর বারডেমে ভর্তি হন।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে অজয় রায়ের মরদেহ বেইলি রোডের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির জানান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেওয়া হবে।

ড. অজয় রায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ মার্চ। স্কুল ও কলেজ জীবনে কাটিয়েছেন দিনাজপুরে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

আরও পড়ুন:

অধ্যাপক অজয় রায় আর নেই