সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক (ছবি: ফোকাস বাংলা)আগামী বছর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এই খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে মন্ত্রীরা সবাই এই খসড়ার কপি নিয়ে গেছেন। তারা দেখে কোনও আপত্তি জানালে ভাষণের সঙ্গে সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বরের পর এই ভাষণ চূড়ান্ত করা হবে।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হয় সচিবালয়ে ছয় নম্বর ভবনে মন্ত্রিসভা কক্ষে।

সচিব জানান, ‘সংবিধানের ৭৩-এর ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদে রাষ্ট্রপতির দুটি ভাষণের বাধ্যবাধকতা আছে। একটি নির্বাচনের পর নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে। আরেকটি প্রতি বছরের প্রথম অধিবেশনে। এই ভাষণ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের। আমরা খসড়া তৈরি করে দিয়েছি, মন্ত্রিসভায় তা অনুমোদিত হয়েছে।’মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক (ছবি: ফোকাস বাংলা)

তিনি জানান, এবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সামষ্টিক অর্থনীতি, আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, ২০২১ সালের রূপকল্পের রূপরেখা বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সর্বশেষ পরিস্থিতি, দেশে-বিদেশ কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও সর্বশেষ পরিস্থিতি, প্রশাসনের নীতিকৌশল বাস্তবায়নের অগ্রগতি।

এই ভাষণে সব মন্ত্রণালয়ের এক বছরের সাফল্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে সব মন্ত্রীকে ভাষণের কপি দেওয়া হয়েছে। তারা দেখে সাত দিনের মধ্যে জানাবেন। কোনও ভুলত্রুটি থাকলে আগামী বৈঠকে জানানো হবে, পরে সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।