ক্ষুধা সূচকে ৮৮তম অবস্থানে বাংলাদেশ

78800096_595375577670526_4917570990793293824_n (1)বিশ্বের ১১৭টি দেশের মধ্যে ক্ষুধাসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ৮৮তম। গতবারের চেয়ে উন্নতি করলেও বৈশ্বিক অবস্থানে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গতবার স্কোর ছিল ২৬ দশমিক ১, এবার কমে হয়েছে ২৫ দশমিক ৮। আর ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০১৯’ প্রকাশ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশীয় অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত ১০২, পাকিস্তান ৯৪, নেপাল ৭৩, মিয়ানমার ৬৯ এবং শ্রীলঙ্কা ৬৬তম অবস্থানে রয়েছে। এবারের ক্ষুধা সূচক অনুযায়ী ৪৭টি দেশের অবস্থা মারাত্মক।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিজমি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে উন্নতির দিকেই রয়েছে। পুষ্টিহীনতা, খর্বাকৃতি শিশু ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, কোন দেশের জনগণ কতটা খাদ্যাভাব অর্থাৎ খিদে পেটে থাকে, তা তুলে ধরা হয় বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে (জিএইচআই)। এই সূচক নির্ধারণ করা হয় ০ থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে। এই মাপকাঠিতে ০ সবচেয়ে ভালো স্কোর, আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ। ১০-এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ খিদের সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪ দশমিক ৯ স্কোরের অর্থ তীব্র খিদে, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক ৯ অর্থ ভীতিকর খিদে আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে খিদে পীড়িত দেশ।
জিএইচআই তৈরি হয়েছে চারটি মাপকাঠিতে। অপুষ্টি, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম ওজনের শিশু, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশু এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে ধারাবাহিকভাবে।
অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডা. শাহ নেওয়াজ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম মুসা, হেলভেটাস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা।