যাত্রী পারাপারের স্পিডবোটগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

মাওয়া ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার। ছবি: তানজিমুল নয়ন।

পদ্মা নদীতে মাওয়া-কাওরাকান্দি বা মাওয়া-মাঝিরঘাট যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত স্পিডবোটগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। অসংখ্য স্পিডবোটগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পার করে। তাই স্পিডবোটগুলোর নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা থাকলেও সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নৌপরিবহন সেক্টরে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশের (এসআরএঅবি) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছেন, এমন কোনও কাজ আমি করবো না, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে গালি দেয়। আমার হাত দিয়ে এমন কিছু হবে না। রাজনীতিবিদদের মূল্যায়নের সময় এসেছে। এখন সবাই মূল্যায়নের বিষয়টি বলতে শিখছে।

এদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাওয়া থেকে মাঝিরঘাট ও কাঁঠালবাড়ী রুটে বর্তমানে দেড় শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে। এতে প্রায় সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেক সময় প্রাণহানিও ঘটে। এসব স্পিটবোটের কোনও নিবন্ধন নেই। শুধু পদ্মার স্পিডবোট-ই নয়, নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করা স্পিডবোটগুলোকেও নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার চারপাশে চক্রাকার নৌ-পথে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে আশেপাশের নদীগুলোর ওপর বিদ্যমান সংযোগ সড়কে ব্রিজ উঁচু করার আগে টঙ্গী ট্রেন স্টেশন সরাতে হবে। তবে আউটগোয়িং ট্রেনগুলোর স্টেশন ঢাকার বাইরে করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল এবং সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।