বেলা পৌনে ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢামেকে আসেন। সোয়া ১১টার দিকে তিনি দগ্ধদের দেখে বের হন। এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দগ্ধদের সবার অবস্থাই খু্ব ক্রিটিক্যাল। দুয়েকজন ছাড়া সবারই ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ঢামেকের বার্ন ইউনিট থেকে ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দরকার হলে আরও রোগী সেখানে স্থানান্তর করা হবে।’
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ইনজুরি এটা। বদ্ধ ঘরের ভেতরে ছিল আগুনটা। যেহেতু প্লাস্টিকের কারখানা, মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য ১২ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ডা. বিধান সরকারকে বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে এক জন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় অন্তত ৩৭ জন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে আরও ১০ জন মারা যান।
আগুন লাগা কারখানাটির সরকারি অনুমোদন ছিল না বলে জনান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।