মেডিক্যাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই খালেদা জিয়ার জামিন নাকচ: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকখালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আপিল বিভাগ মেডিক্যাল রিপোর্ট পড়ে দেখেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব। সেজন্যই জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগ এই মেডিক্যাল রিপোর্ট পড়েছেন এবং তারা তাদের বিবেচনায় দেখেছেন যে এখানে চিকিৎসা করা যায়। এটা তাদের অবজারভেশনে আছে বলে আমি শুনেছি।’
আনিসুল হক বলেন, ‘ছয় জন বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, সেটা আমাদের মানতে হবে। আমি মনে করি, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কিছু করণীয় থাকলে তারা নিশ্চয়ই তা করবে।’

আদালতে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে তা সঠিক নয়—বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শুনানির প্রথম দিন সবাই দেখেছেন তারা আদালত কক্ষে কী তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। যখনই এমন কিছু হয় যেটা তাদের পক্ষে যায় না, তা যত যুক্তিযুক্তই থাকুক, এটা বিএনপি অভ্যাসগতভাবে বলে।’ এটা ঠিক না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘আদালত মেডিক্যাল রিপোর্ট বিবেচনা করেছেন এবং সর্বোচ্চ আদালত বিবেচনা শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে খালেদা জিয়ার অন্য কোথাও চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন নেই। বিএসএমএমইউয়ে যে চিকিৎসা হচ্ছে, সেটাই যথেষ্ট।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক মন্তব্যের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘যে রিপোর্ট তাদের পছন্দ হবে না, সেটাই ভুল হবে। তাদের পছন্দে যদি অন্যায়ও কিছু হয়, সেটাই সঠিক। কাগজপত্র দেখেই উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’ তাই সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তাকে মেনে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।