রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আল্টিমেটামের শেষে এ দাবি জানান তারা। এসময় দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি হিসেবে, বিজয় দিবসে দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এতে পাঁচটি দাবির কথা তুলে ধরেন তারা। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পাঁচদফা দাবি হল:
১. রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদেরকে অবমাননা করার অপরাধে জামাত-শিবিরের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা।
২. সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত এই সংবাদ পরিবেশন হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অপরাধে তথ্য মন্ত্রণালয় ও পিআইবির দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।
৩. সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত গ্রেফতার হওয়া সম্পাদক আবুল আসাদকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও সাংবাদিক রুহুল আমিনসহ বাকীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।
৪. জামাত-শিবিরের অঘোষিত দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয় বাজেয়াপ্ত করা।
৫. আইন করে স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবিরকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের তালিকা করে তাদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ প্রমুখ।