ব্যাপক হারে অভিযোগ পেলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকরাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘রাজাকারের এই তালিকা আগে থেকেই করা ছিল। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী নাম প্রকাশ করেছি। এই তালিকা নিয়ে যদি ব্যাপক হারে অভিযোগ আসে, তাহলে আমরা তা প্রত্যাহার করে নেবো।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী হত্যা করেছিল বরিশালের আইনজীবী সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে। তার ছেলে আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রথম ধাপে রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে তপন কুমারের নাম এসেছে। একইসঙ্গে আছে তার মা প্রয়াত ঊষা চক্রবর্তীর নামও।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের এই তালিকা আগেই করা ছিল। তালিকাটি কোনও ধরনের এডিট ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এখন তথ্য সংগ্রহ করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তা যাচাই-বাছাই করবো। তাছাড়া এই তালিকায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও নাম রাখা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার নাম এই তালিকায় আসলে আমি যেমন কষ্ট পেতাম, তেমনি যাদের নাম এসেছে, তারাও কষ্ট পেয়েছেন। আমি এ কারণে ব্যথিত।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যেসব মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, তাদের অনেকেই জীবিত থাকা অবস্থায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই তাদের নাম যদি এই তালিকায় থেকে থাকে, তারা প্রতিবাদ করতে পারবেন। একটা সংশোধনের সুযোগ থাকবে। কিন্তু ৩০ বছর পরে করলে এই সুযোগটা আর থাকতো না।’
এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, কাউকে অন্যায়ভাবে দোষের জায়গায় নেওয়া কারও কাছেই শোভনীয় নয়।’