এটা কোনোভাবেই রাজাকারের তালিকা নয়: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা

রাজাকারের তালিকায় কিছু মুক্তিযোদ্ধার নাম ঢুকে যাওয়ায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিনি এ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ তালিকা কোনোভাবেই রাজাকারের তালিকা নয়। এটা যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে, শাস্তি দেওয়া হবে। এখনও মাইন্ডসেটের কিছু সমস্যা আছে। সর্ষের মধ্যে যেমন ভূত থাকে, তেমন কিছু রয়ে গেছে। আমরা সেগুলা ঠিক করে ফেলবো। কোনও মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার খেতাব দেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না—এটা অসম্ভব। অন্তত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে না।’

তিনি বলেন, ‘যারা ওই সময় জন্ম নেয়নি—এমন অনেকেরও নাম এ তালিকায় ঢুকে গেছে। এটা যারা দেখেছে তাদের মনে খুব কষ্ট লেগেছে, আঘাতও লেগেছে। রাজাকারদের যেটা তালিকা তার আলাদা গেজেট করা আছে। সেটা কিন্তু একেবারে আইনগতভাবে গেজেট করা, আলবদরের গেজেট করা আছে আলাদা, আলশামসের গেজেট করা আছে আলাদা। সবগুলোর কিন্তু গেজেট নোটিফিকেশন করা আছে। মানবতাবিরোধী হিসেবে আমরা যখন বিচার করতে শুরু করি, তখন কিন্তু ওই গেজেট থেকেই তালিকা নিয়ে বিচারকার্য হয়েছে। কাজেই এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝির মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি নির্দেশ দিয়েছি, আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বলেছি সব ঠিক করতে, সংশোধন করতে।’
রাজাকারের তালিকায় নাম থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা কষ্ট পেয়েছেন, দুঃখ পেয়েছেন তাদের বলবো দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। যারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহীদ পরিবার তারা সব সময় আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয়। তারা জাতির কাছে সব সময় শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন।’ এর কোনও ব্যত্যয় হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।