প্রচারসহ নির্বাচনি কোনও কার্যক্রমে মন্ত্রী-এমপিরা অংশ নিতে পারবেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন। বুধবার দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত।
এমপি-মন্ত্রীদের প্রচারে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুটি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণ। এ বিষয়ে আমরা বলেছি, বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কেউ নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে এমপি, মন্ত্রীরা পড়েন। আইনত তারা নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনি প্রচার নয়, নির্বাচনি কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে তারা নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনও বিধিনিষেধ নেই।’
উত্তর ও দক্ষিণে যে দু’জন সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনি দায়িত্বে আছেন তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।’
ইসি মাহবুব তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং দুই সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচনি কাজে চট্টগ্রামে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।