এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
সফরকালে শেখ হাসিনা সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের আইসিসি হলে (এডিএনইসি) ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক ২০২০’ এবং ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’ সিরিমনিতে যোগ দেন।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের পৃথক প্রতিনিধি দল—যার নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম, আমিরাত জাতীয় তেল কোম্পানির (ইএনওসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ হুমাইদ আল ফালাসি এবং দুবাই শাসক পরিবারের সদস্য শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মকতুম পৃথকভাবে এদিন বিকালে আবাস হোটেল শাংরি-লাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের একটি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে (আগের সমঝোতা স্মারকের সঙ্গে সংযুক্তি) আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি (ইএনওসি) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
পরে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত ৯ বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে দূত সম্মেলনে মিলিত হন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে দাহরানভিত্তিক সৌদি আরবের জাতীয় তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি সৌদি আর্মাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এসিডব্লিউএ পাওয়ার এর চেয়ারম্যান এবং সৌদি আরবের ইউটিলিটি ডেভেলপার হোটেল শাংরি-লাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (হল নম্বর ১১) জলবায়ুজনিত পদক্ষেপে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সংক্রান্ত একটি সাক্ষাৎকার পর্বেও অংশ নেন।
সূত্র: বাসস