সেগুলো হলো−১) গণহত্যা কনভেনশন ২ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের হত্যা, শারীরিক বা মানসিক নিপীড়ন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা যাবে না।
২) গণহত্যা কিংবা গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ।
৩) মিয়ানমারকে অবশ্যই চার মাসের মধ্যে লিখিত জমা দিতে হবে যেন তারা সেখানে পরিস্থিতি উন্নয়নে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর প্রতি ছয় মাসের মধ্যে আবার প্রতিবেদন দেবে।
৪) গাম্বিয়া এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমি খুশি। আন্তর্জাতিক আদালত যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করা সদ্য অবসরে যাওয়া সাবেক ওই সচিব বলেন, ‘আমরা ঠিক পথে আছি। আজকের আদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
এ বিষয়ে আইন বিভাগের প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক আইনের জন্য খুব ভালো একটি দিন।’
আদেশ খুব ভালো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার পথ অনেক প্রশস্ত হলো।’
মিয়ানমারের আইনজীবীরা মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা বিফলে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।