মারামারির ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ইসির কিছু করার নেই: সিইসি

সিইসি

নির্বাচনি প্রচারণার সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তাৎক্ষনিকভাবে কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, প্রচারণার সময় মারামারি হওয়া খারাপ। এতে আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু করার নেই। এটা হলে মামলা হবে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর একটি কেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রবিবার গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। তার তিনদিন আগে গাবতলীতে মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী প্রচার চালানোর সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রথমত মারামারি বলতে বিভিন্ন জায়গায় না, একাধিক জায়গায়। দ্বিতীয়ত মারামারি হওয়া খারাপ। এটাতো ক্রিমিনাল অফেন্সের ধারায় তারা (ভুক্তভোগীরা) মামলা করবে। মামলা করলে তারা (পুলিশ) ব্যবস্থা নেবে। এখানে তো আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে কিছু করার নেই।’

গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ একজন সদস্য মোবাইলে ‘নিজেদের পার্টির’ অবস্থান জানাচ্ছিলেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, পুলিশের সঙ্গে যে লোকজন থাকে, তাকে পার্টি বলে। পুলিশের পার্টি মানে পুলিশের সঙ্গীরা। তিনি (ওই পুলিশ সদস্য) পুলিশের পার্টি বুঝিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক পার্টি নয়।

আস্থার সংকটের মধ্যে ইভিএম ব্যবহার যৌক্তিক কিনা জানতে চাইলে কেএম নূরুল হুদা বলেন, অবশ্যই যৌক্তিকতা আছে। ইভিএম-এর মাধ্যমেই ভোটার নিজের ভোট দিতে পারে। আগে জাল ভোটের সম্ভাবনা ছিল। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা ছিল। ইভিএমে সেটা নেই। প্রদর্শনীতে অনেক ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না ইভিএম মেশিনে—এ বিষয়ে সিইসি বলেন, সবার না। দু’এক জনের এমন হচ্ছে। হয়তো তাদের আঙ্গুলের ছাপ বিলীন হয়ে গেছে।