বাংলাদেশে ক্যাসিনোর প্রবক্তা জিয়া: মতিয়া চৌধুরী

মতিয়া চৌধুরীজিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশে ক্যাসিনোর প্রবক্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সরকারি দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে মদ, জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। আর এ দেশে ক্যাসিনোর প্রবক্তা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে নিজের আয়ের উৎস দেখিয়েছেন ক্যাসিনো। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির একজন সংসদ সদস্য ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এ দেশে ক্যাসিনোর প্রবক্তা জিয়াউর রহমান। তিনি একদিকে সংবিধানে বিসমিল্লাহ যুক্ত করেছিলেন, অন্যদিকে মদ, জুয়া, হাউজি, ‘লাকি খানের ঝাঁকি নৃত্য’ প্রচলন করেছেন। বিএনপি হত্যা, ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে অভিযোগ করে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা গণতন্ত্রের চর্চা করেন, রাজনীতি করেন, ষড়যন্ত্র বাদ দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। পাকিস্তান এখন সুইজারল্যান্ড নয়, বাংলাদেশ হতে চায়।

সরকারি দলের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, টেকসই উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচে বাংলাদেশ। তিনি চট্টগ্রামের ডিসি হিলে অবস্থিত জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সরিয়ে সেখানে পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব করেন।

জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, দেশে উন্নয়ন হলেও বৈষম্য বাড়ছে। কীভাবে এটা দূর করা যায় তা ভাবতে হবে। ব্যাংকের টাকা লুট হচ্ছে। টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। এসব ঋণখেলাপির সঙ্গে একশ্রেণির আমলা, রাজনীতিবিদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সেই টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এ টাকায় মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করা হচ্ছে। ধনী মানুষের প্রবৃদ্ধি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে গেছে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ঠেকানো না গেলে বৈষম্য কমানো যাবে না।
অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সিমিন হোসেন রিমি, আবদুল হাই, সুবিদ আলী ভুঁইয়া, এসএম শাহজাদা, বিকল্প ধারার মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান প্রমুখ বক্তব্য দেন।