বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে ২০ জানুয়ারি বিমানবন্দরে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেদিন থেকেই যাত্রীদের বিশেষভাবে স্ক্রিনিং করা শুরু হয়। এছাড়া বিমানবন্দরে কর্মরত ও এয়ারলাইন্স কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। তবে ৩টি থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও দুটি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রী, দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা, বিমানবন্দরের স্যানিটেশন, ফিউমিগেশন ও আগত যাত্রীদের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তদের শনাক্ত করতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে পর্যাপ্ত জায়গা, জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকট রয়েছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বিমানবন্দরের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালা থাকলেও তা যথাযথ অনুসরণ করা হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত যাত্রী শনাক্তকরণ ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। প্রায়ই বিকল হয় থার্মাল স্ক্যানারগুলো। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে থার্মাল স্ক্যানার মেশিনে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন হাসপাতালে স্থানান্তর করার বিধান রয়েছে। এজন্য বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোয়ারেন্টাইন হাসপাতাল থাকতে হবে অথবা বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা থাকতে হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরে হ্যাঙ্গার গেটের কাছে একটি ভবনে কোয়ারেন্টাইন হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ভবনটি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে তাদের সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়ায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তীতে নিয়ম রক্ষার জন্য টার্মিনাল ভবনের নিচতলার একটি রুমে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা করা হয়। যদিও সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগতত্ত্ব বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভাইজার নাসির আহমেদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিমানবন্দরে ৩টি থার্মাল স্ক্যানার এখন সচল আছে। বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা আছে, জায়গার সমস্যা থাকায় সেখানে টয়লেট নেই। এ মুহূর্তে করোনার জন্য কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই। কেউ চেকিং পয়েন্টে সন্দেহজনক হলে বা আক্রান্ত কাউকে শনাক্ত করা হলে সরাসরি তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। ইয়োলো ফিভারসহ অন্য কিছু রোগের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হয়।