ঐক্যবদ্ধভাবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী

555পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাতারে। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ নগণ্য। এজন্য জলবায়ু সহনীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অংশীদারি ও এর অর্থায়ন’ শীর্ষক দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও, সিভিল সোসাইটি এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান ও আর্থসামাজিক অবস্থার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, তাপপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্তর বৃদ্ধির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশির নিরাপত্তা আজ হুমকির সম্মুখীন। সরকার নির্মল বায়ু আইনসহ প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন, শিল্পকারখানা থেকে শূন্য নিঃসরণ, জলাশয় ও জলাভূমির অবৈধ দখলমুক্ত ও সেগুলোকে রক্ষা এবং উপকূলীয় সবুজবেষ্টনী বাড়াতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, গ্রিন জলবায়ু তহবিলের উপ-নির্বাহী পরিচালক জাভিয়ার মানজানারেস, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, জাইকার সভাপতির কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কিমিও টোকা, ইউএনডিপি আঞ্চলিক ব্যুরো অব এশিয়া প্যাসিফিকের রাধিকা লাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ড. মূসা।