উহান থেকে ফিরলেন ৩১২ জন, রাখা হয়েছে কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও হজ ক্যাম্পে

শাহজালাল বিমানবন্দরে উহান থেকে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা উড়োজাহাজ

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চীনের উহান সিটিতে থাকা ৩১২ বাংলাদেশিকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দেশে ফিরেছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৩০৫ জনকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদুল আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ৩১২ বাংলাদেশিকে বহনকারী উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ৮টি বাসে তাদের ৩০৫ জনকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অন্য ৭ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে চীনের উহানে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে আনতে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪১৯ জন যাত্রী বহনে সক্ষম একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজ ঢাকা ছেড়ে যায়। অন্যদিকে সেদেশে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থান থেকে উহান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির করে চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস। 

হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমাদের ক্যাম্পাস থেকে বাসে করে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

 

উহান থেকে ফেরা ব্যক্তিদের বিআরটিসির বাসে করে হাজি ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে। ছবি- আমানুর রহমান রনি

সংশ্লিষ্টরা জানান, উহান থেকে ফেরা ব্যক্তিরা আপাতত স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন না। বিমানবন্দর থেকে তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। সেখানে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় তাদের রাখা হবে। স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার জন্য ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের সেখানে রাখা হতে পারে।

চীন থেকে ফেরত আসাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা আশা করছি ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। তারপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। হজ ক্যাম্পে তাদের রাখা হবে। সেখানে আমাদের চারটি মেডিক্যাল টিম থাকবে। তাদের সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা ও নির্ধারিত ১৪ দিনের মতো পর্যবেক্ষণে রাখার পর ফেরত আসা বাংলাদেশিরা বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে জানান তিনি।