যৌথ সহযোগিতায় বস্ত্রখাতের সম্ভাবনা উন্মোচন করবে বাংলাদেশ-ভারত

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ফোরামের সভাপারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের বস্ত্রখাত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, আমরা দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে বস্ত্রখাতের সম্ভাবনা উন্মোচনের চেষ্টা করবো। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে 'ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ফোরামের (আইবিটিআইএফ) এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দুই দেশের বস্ত্রখাতের সম্প্রসারণ ও রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রথম সভা বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ভারতীয় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রী রবি কাপুর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জুট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রমুখ। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বস্ত্রখাতের ব্যবসা-বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে তা দূর করা হবে। ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বিষয়ে আরও আলোচনা সাপেক্ষে দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দু’দিনের আলোচনায় ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ফোরাম’কিছু সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে, যা বস্ত্রখাতের টেকসই উন্নয়নে এই ফোরাম সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করবে৷
তিনি বলেন, বস্ত্রখাতের উন্নয়নে এই ফোরাম প্রতিবছর খুব নিখুঁতভাবে আমদানি-রফতানির চিত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে। এছাড়া বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশে খাতটির ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করে যাবে।