দেশের ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ১২২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাসযাত্রী-৩৩, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোযাত্রী-২৮, ট্রাক ও পিক-আপ ভ্যান যাত্রী-২৪, থ্রি-হুইলার যাত্রী-১০৬ জন। যাবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ২৯ জন। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩১৭ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় দায়ী যানবাহনের সংখ্যা ৪৬৯টি। বাস-৭০, ট্রাক ও পিক-আপ-৯৭, কাভার্ড ভ্যান-১৬, লরি ও ট্রাক্টর-২৩, কার ও মাইক্রোবাস-৩৩, মোটরসাইকেল-৮৯, বাইসাইকেল-১৬, নসিমন-করিমন-আলমসাধু-মাহেন্দ্র-৮৭, সিএনজি-ইজিবাইক-৩৩, টমটম-২, পাওয়ার টিলার-১, ট্রলি-১, পুলিশ জিপ-১। এছাড়া, ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ৯ জন এবং ৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭জন নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন;
২. বেপরোয়া গতি;
৩. চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা;
৪. বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল;
৬. তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো;
৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;
৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;
৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি;
১০ গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।
এছাড়া দুর্ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশও দেওয়া হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো:
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;
২. চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;
৩. বিআরটিএ-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;
৪. পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা তৈরি করতে হবে;
৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;
৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;
৮. রেল ও নৌপথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে;
৯. বারবার কমিটি গঠন এবং সুপারিশমালা তৈরির চক্র থেকে বেরিয়ে টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা পোষণ করতে হবে।