আরও ১৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব

সৌদি আরবফেরত বাংলাদেশিআরও ১৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০২) বিমানযোগে তারা দেশে ফেরেন। এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৪) বিমানে ১০২ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসেন। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য মতে, এই নিয়ে গত দেড়মাসে সাড়ে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফিরলেন। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ফেরতদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

ফিরে আসা কর্মীরা জানান, কোনও কারণ ছাড়াই তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও দায়িত্ব নিতে চাননি তারা।

সৌদি আরবফেরত যাত্রীদের মধ্যে মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মাত্র তিন মাস আগে তিন লাখ টাকা খরচ করে ড্রাইভিং কাজে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই তাকেও দেশে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে।

মাত্র আট মাসের মাথায় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার একই গ্রামের দুই তরুণ বিজয় মিয়া ও নাজির উদ্দিন দেশে ফিরেছেন।

যাওয়ার নয় মাসের মধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আল আমিন, নোয়াখালীর শাহজাহান, চাঁদপুরের আমিনুল, নারায়ণগঞ্জের হোসেন আলী, মৌলভীবাজারের পারভেজ মিয়া ও সাতক্ষীরার ওবায়দুল্লাহ।

ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘গত দেড়মাসে সৌদি আরব থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার প্রবাসী ফিরেছেন। যাদের অনেককেই যাওয়ার তিন মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ফিরতে হয়েছে। গতকাল রাতে দুজন বলছিলেন, তারা  তিন লাখ করে টাকা খরচ করে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়োগকর্তা তাদের আকামাই করেননি। পুলিশ ধরলে তারা নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কোনও দায়িত্ব নেননি তারা। এই ধরনের প্রতারণা বন্ধ হওয়া উচিত।’

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিন হাজার ৬৩৫ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৯৫৯ জন সৌদি আরব থেকে ফিরে এসেছেন। আর ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন, যাদের পরিচয় ডিপোর্টি। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৭৮৯ জনই ফিরেছেন সৌদি আরব থেকে।