মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর হলে আমদানি খরচ কমবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন (ফাইল ছবি)

মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়িতে জাপানিজরা ড্রেজিং করেছে। এতে নাব্যতা বেড়ে গেছে। ফলে গভীর সমুদ্রবন্দর হলে আমদানি খরচ অনেক কমে যাবে।’ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর করার পকিল্পনা আছে আমাদের। এর ড্রেজিংসহ বেশিরভাগ কাজ করছেন জাপানিরা।’

পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর হবে কিনা—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হতে পারে। আমাদের একটির বেশি গভীর সমুদ্রবন্দর থাকতে পারে। আমাদের জানানো হয়েছে, এখানে বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে গিয়ে সমুদ্রের নাব্যতা বেড়ে গেছে। এখন সেখানে ১৪ মিটার গভীরতা তৈরি হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নেই। এটি না থাকার ফলে বিদেশ থেকে এলপিজি বা এলএনজি আনতে তখন খরচ অনেক বেড়ে যায়। বড় জাহাজ এখানে নোঙর করতে পারে না, সিঙ্গাপুরে করে। সেখান থেকে ১ লাখ ২০ টনের মাল আনার জন্য ১০টি ছোট জাহাজ পাঠানো হয়। এতে খরচ বেড়ে যায়। আমার কাছে যে তথ্যে আছে, তা থেকে বলা যায়, প্রতি মেট্রিক টনে ৫০ ডলার খরচ বেড়ে যায়।’

প্রসঙ্গত, গভীর সমুদ্রবন্দর একটি স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় এর আগে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর করার জন্য চীনকে অনুমতি দেয়নি সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি অন্যদের জিজ্ঞাসা করুন। এই বিষয়ে আমি জানি না।’

মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগিরই চালু হবে। ১ হাজার ২৩০ মেগাওয়াটের প্রকল্প চালু হয়ে যাবে দুই মাসের মধ্যে।’ এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।