নদী দখল ও দূষণ রোধে মাস্টার প্ল্যান হচ্ছে: তাজুল ইসলাম

সভায় বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, নদী দখল ও দূষণ রোধ এবং নাব্য বাড়াতে তৃতীয় মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। পদ্মা, মেঘনা, তুরাগ ও পুংলী নদীর দখল ও দূষণ রোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু, শীতলক্ষ্যাসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর জন্য একটি এবং কর্ণফুলী নদীর জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রয়ারি) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে নদীগুলোর দূষণ রোধ এবং নাব্য বাড়াতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্য বাড়াতে মাস্টার প্ল্যান তৈরির লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় একটি কমিটি গঠনের সিদ্বান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের পর একই বছরের ৫ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীকে সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন)-কে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মাধ্যমে দুটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন।

সভায় পদ্মা ও মেঘনা নদীসহ ঢাকার তুরাগ ও পুংলী নদীর দখল, দূষণরোধ এবং নাব্য বাড়াতে তৃতীয় মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন এবং এর রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। প্রথম দুটি মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন মনিটরিং এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে প্রধান করে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন— নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সামাদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।