বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণকারীদের স্বজনদের রাষ্ট্রীয় পদে নিয়োগ বন্ধের দাবি

12বিদেশি নাগরিকত্ব নেওয়া বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। জামায়াতের মতাদর্শ থেকে বেরিয়ে আসা ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ এ সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এর আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, যারা নিজেরা কিংবা তাদের স্ত্রী, স্বামী অথবা সন্তান অন্য দেশে নাগরিকত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশে তাদের রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, প্রশাসক, বিচারক ইত্যাদি কোনও পদে নিয়োজিত থাকা কিংবা নিয়োগ পাওয়া উচিত নয়।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স ইত্যাদিতে যারা আছেন তাদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর করা উচিত। এজন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা কিংবা সুস্পষ্ট নতুন আইন প্রণয়ন করা উচিত।

লেখক ও গবেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ছিল রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বাংলাদেশে একুশে ফেব্রুযারি উদযাপন করা উচিত রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোর সার্বিক উন্নতির জন্য সরকারের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত।’

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মনজু বলেন, ‘যারা মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়, যারা ভোট ও ভাতের অধিকার ক্ষমতা ও গুলির জোরে স্তব্ধ করে দেয়, যারা স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দলন করে, যারা ভিন্নমত পোষণ করলেই বাতিল আর ষড়যন্ত্রকারী অপবাদ দিয়ে খারিজ করে দেয় তারা কারা? কী তাদের পরিচয়? আমরা মনে করি তারা সবাই একই নীতির অনুসারী। তাদের আদর্শ হচ্ছে স্বৈরবাদ। একুশে ফেব্রুয়ারি হল এ ধরনের সব স্বৈরবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন। ২১ ফেব্রুয়ারি মূলত সব শোষিতের এক কাতারে দাঁড়ানোর দিন। আজ ন্যায় ও সাম্যের দাবিতে সবার একমত হবার সময়।’ সভা শেষে আয়োজন করা মনোজ্ঞ সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশিষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, ফ্রি থিংকার্স ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর চৌধুরী। আলোচনা সভায় মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন লেখক ও কলামিস্ট গৌতম দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।