শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের যে প্রান্তেই হোক, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদকের সঙ্গে দলের লোকজনও যদি জড়িত থাকেন, তারাও রেহাই পাবেন না। তারা নজরদারিতে চলে এসেছেন। থেমে থেমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া এসব অপকর্মের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়ছেন, তারাও রেহাই পাবেন না।’
বিএনপির বিক্ষোভ আদালতের বিরুদ্ধে
বিএনপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে? তারা বিক্ষোভ করছে আদালতের বিরুদ্ধে। এ বিক্ষোভ কোনও রাজনৈতিক দল বা ওই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নয়। আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়নি বলেই তারা এ কর্মসূচি পালন করছে। এটা আদালতের বিরুদ্ধে অঘোষিত একটা কর্মসূচি।’
সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি
বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতেই কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিচ্ছে, পানিতেও সেরকম ভর্তুকি দেওয়া লাগছে। তবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কৃষকের ভর্তুকি খুব কম ধরা হয়েছে। মুজিববর্ষে আমরা শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। প্রত্যেক ঘরে আমরা বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে চাই। সামনে গরমের সিজন, লোকজন যেন কষ্ট না পায় সেজন্য আমরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে চাই। একটু কষ্ট হলেও জনগণ এর সুবিধা পাবে।’
পদ্মা সেতুর কাজে সামান্য বিঘ্ন ঘটবে
চীনে করোনা ভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে প্রভাব পড়বে কিনা এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় এক হাজারের মতো চীনা নাগরিক পদ্মা সেতুতে কাজ করেন। এখান থেকে ১৫০ জন ছুটিতে দেশে গেছেন। যদি দুই মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনও উন্নতি না হয়, তাহলে পদ্মা সেতুর কাজে সামান্য বিঘ্ন ঘটবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ থেমে থাকবে না। কয়েকদিন আগেও ২৫তম স্প্যান বসানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরেকটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। তারা যদি ছুটি থেকে না আসতে পারেন, তাহলে কাজের কিছুটা সমস্যা হবে।’