সচেতন করতে জলবায়ু বাস যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

জলবায়ু বাসজলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতি বছরেই দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ঝড় ঝঞ্ঝায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। আশঙ্কা রয়েছে, এর ফলে দেশের বড় একটি অংশ পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব সম্পর্কে কতটা জানে নতুন প্রজন্ম। বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে শিখতে হবে, জানতে হবে। এবার সেই জানানোর উদ্যোগই নিতে যাচ্ছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করতে এবার বাংলাদেশে আনা হচ্ছে জলবায়ু বাস। এই বাসের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জানানো হবে।

আজ রবিবার (১৫ মার্চ) এই বাসের উদ্বোধন করবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,  মুজিববর্ষ উপলক্ষে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং জলবায়ু বাসের পরিকল্পনা করা হয়। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন (সিসিটিএফ) বিষয়ে প্রণীত ব্র্যান্ডিং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই বাস আনা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি)।

জলবায়ু বাস

এই প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তৈরি করা সচেতনতামূলক টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, রেডিও বিজ্ঞাপন, থিম সং এবং ডকুমেন্টারি জলবায়ু বাসের মাধ্যমে প্রচার করা হবে।

এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা। মূলত কীভাবে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন ঠেকাতে কী করণীয় সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে। শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে আমাদের দেশের পরিবেশ যেমন উন্নত হবে তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমরা বাঁচতে পারবো। কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়, কীভাবে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলা হবে।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তথ্য সংবলিত আর্কাইভসহ ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে, মোবাইল থ্রিডি সিনেমা সিস্টেম, ইন্টারেকটিভ কিয়স্ক, সোলার প্যানেল, ওয়াইফাই দিয়ে সাজানো হয়েছে জলবায়ু বাসটি। বাসটি মুজিববর্ষ জুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরবে। বাসের ভেতরে আর্কাইভ থেকে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কীভাবে দূষণ হয়, কেন জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, কী করলে এসব বন্ধ হবে, আগে বিশ্বের পরিস্থিতি কেমন ছিল, এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে কী হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার আমরা জলবায়ু বাসের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করছি আমরা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হবে এবং সচেতন হবে বলে আশা করছি।’