এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বন বিভাগ বেলা ১১টায় বনভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা।
পরিবেশবাদীরা মনে করেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, শিল্পায়ন, কৃষি সম্প্রসারণ ও নগরায়নের ফলে বিশ্বব্যাপী বন ও বনভূমি হ্রাস পাচ্ছে। পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বন অপরিহার্য। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। এতে করে সমুদ্র উপকূলের নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আমাদের দেশের নিচু এলাকাও সাগরের লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য সারা বিশ্বে বনভূমি বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রতি বছর উজাড় হচ্ছে বনভূমি।
১৯৯২ সালে ‘রিও ঘোষণা’য় বন সৃজন ও রক্ষার্থে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় বন ও বনভূমির নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২১ মার্চকে বিশ্ব বন দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ২১ মার্চকে বিশ্ব বন দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। চলতি বছরও জাতিসংঘ বন দিবসের কার্মসূচি ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য এবং ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।