দেশের সব পিটিআই দৃষ্টিনন্দন করার নির্দেশ

10641084_885535028130929_5646590661595446359_n

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পিটিআই-এ (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) মানসম্মত ব্যবস্থাপনার অভাবের অভিযোগ পুরনো। এর জেরে এসব কেন্দ্রের পরিবেশগত সৌন্দর্য্যও হারাতে বসেছে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে মহাপরিচালক কয়েকটি পিটিআই পরিদর্শন শেষে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে দৃষ্টিনন্দন করাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন যোগদান করা এই মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পিটিআই হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয়, অথচ দেখলে মনে হবে একেকটা মরাবাড়ি। তাই পিটিআইগুলো দৃষ্টি নন্দন করতে এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষক তৈরি করতে পিটিআইগুলো যেন ভূমিকা রাখতে পারে, সেজন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

মহাপরিচালক জানান, আগামী সপ্তাহে দেশের সব পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্টদের ডাকা হবে। তাদের এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, কয়েকদনি আগে মহাপরিচালক কয়েকটি দেশের কয়েকটি পিটিআই পরিদর্শন করেন। এরপর ৩৯টি দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা, তা মনিটরিং করতে বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুপারিনটেনডেন্টদের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, অফিস কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষসহ পুরো ক্যম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বছরজুড়ে কী ধরনের ব্যবস্থাপনা নিতে হবে, তা বিস্তারিত বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

নির্দেশনামতে, পিটিআইয়ের সিটিজেন চার্টার জিডিটাল সাইনে তৈরি করে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। মনিটরিং বোর্ড ডিজিটাল সাইনে করতে হবে। সহজে দেখা যায়—এমন স্থানে অবকাঠামো নির্দেশক থাকতে হবে, যাতে ভবনগুলো সুন্দরভাবে নির্দিষ্ট করা যায়।

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে পিটিআইভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ডিজিটাল সাইনে তৈরি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, গণকর্মচারী শৃঙ্খলা বিধিমালা অধ্যাদেশ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। দাফতরিক সব কাজ ই-নথির মাধ্যমে করতে হবে। 

নির্দেশনায় পিটিআইয়ের পুকুর ও দীঘিপরিষ্কার রাখা এবং মাছ চাষ করতে বলা হয়েছে।সপ্তাহে দুইদিন প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা মিলে আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। শহীদ মিনার রক্ষাণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনে নতুন শহীদ মিনার তৈরি করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গেস্টরুম, অডিটোরিয়াম সুসজ্জিত রাখতে হবে; যেখানে-সেখানে পোস্টার না লাগিয়ে প্রয়োজনে স্থায়ী পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে এই নির্দশনায়।