সচিবালয়ে কড়া নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ জোরদার

90623361_641959769694069_971797691442921472_nপ্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুর থেকে এই বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে দর্শানার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সচিবালয় নিরাপত্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনোরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকাল থেকে অস্থায়ী পাসধারীদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে অ্যক্রিডিটিশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ শিথিল রাখা হয়েছে।

সোমবার থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল হাজিরা ব্যবস্থাও বন্ধ করা হয়েছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা করা হয়।

সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাজিব দাস বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগেই দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া অস্থায়ী পাস যাদের রয়েছে তাদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যারা সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের প্রবেশ করানো হচ্ছে জ্বর পরীক্ষা করে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এছাড়া সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে সচিবালয়ের প্রত্যেকের হাত ধোয়াসহ স্যানিটাইজার ব্যহার নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান রাজিব দাস।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের একটি টিম জীবানুনাশক ছিটিয়ে গেছে। আজ পিডব্লিইডি (পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট) থেকে জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার কক্ষ ছাড়া অন্য যেকোনও রুমে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ না করার জন্য  সবাইকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। জনসংযোগ কর্মকর্তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

ইতোমধ্যে সচিবালয়ে সব ধরনের সংবাদ সম্মেলন করা বন্ধ করেছে মন্ত্রণালয়গুলো। মন্ত্রণালয় থেকে ভিডিও বার্তাসহ প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মকর্তা ও পিটিআিই সুপারিনটেনডেন্টদের সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।

এছাড়া সচিবালয়ের চারপাশে জীবানুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।