‘এই ছুটি উৎসব করার জন্য নয়, বাসায় থাকার জন্য’

ড. আহমদ কায়কাউসসরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘোষিত ছুটিতে যারা শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন ও বাসা থেকে বের হচ্ছেন, তাদের বাসায় থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি বলেছেন, ‘এই ছুটি উৎসব করার জন্য নয়। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতার অংশ হিসেবে বাসায় থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে।’ মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সবাইকে বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছুটি করোনা প্রতিরোধ করার জন্য। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের মূলমন্ত্র–“যার যার ঘরে থাকুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন”। সেজন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, এর মানে হচ্ছে এই ছুটির মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাসায় থাকবেন।’

বেসরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও তিনি একই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অতীব প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই ঘরের বাইরে যাবেন না। অতীব জরুরি প্রয়োজনে যদি যেতে হয়, তাহলে স্যানিটাইজেশন ও সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেই যাবেন। এই নির্দেশনা মানার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।’ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা বিশ্বের মতো সরকার এই নীতি অনুসরণ করছে বলে জানান তিনি।

সরকারের তরফ থেকে ট্রেন, বাস, লঞ্চ বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘যে জায়গায় আছেন আপনারা স্থান ত্যাগ করবেন না। যারা ইতোমধ্যে চলে গেছেন তাদের অনুরোধ করবো, ঘরের বাইরে যাবেন না।’

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘এটি এখন আমাদের জাতীয়ভাবে সকলে একসঙ্গে মোকাবিলার সময় এসেছে। আমরা সবাই একযোগে এটি মোকাবিলা করবো। আপনারা দয়া করে এর ব্যত্যয় ঘটাবেন না।’ সবাইকে সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাদের জন্য ওএমএস চালু আছে। সরকারের তরফ থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে নগদ টাকা এবং খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয় আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। যখনই কোনও প্রয়োজন হবে সরকারের লোকজন বাড়ি বাড়ি যাবে।’