‘করোনা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে এখনও বলা যাচ্ছে না’

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনাভাইরাস ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ হয়েছে এখনও বলা যাচ্ছে না বলে আবারও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তবে লিমিটেড স্কেলে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ ‘হয়ে থাকতে পারে’ বলে আমরা মনে করছি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে আমাকে বিস্তারিত তথ্যের বিশ্লেষণে বলতে হবে, সেটা আমাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে তথ্য উপাত্তসহ পেশ করতে হবে।’

বুধবার (২৫ মার্চ) কোভিড-১৯ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নিয়ে’ কথা বলতে গিয়ে ‘লিমিটেড স্কেলে হয়ে থাকতে পারে’ এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘দুটো ক্ষেত্রে আমরা ইনভেস্টিগেশন করেছিলাম, তবে এখন পর্যন্ত সেটার সোর্স অব ইনফেকশন জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে এটা লিমিটেড স্কেলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি।’

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, ‘লিমিটেড স্কেলে যে এলাকাটি নিয়ে আমরা কথা বলছি, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে ভেবে আমরা ওই এলাকাটি সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে প্রতিরোধ করার জন্য কার্যক্রম নিয়েছি।’

অধ্যাপক সেব্রিনা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশব্যাপী কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে এরকম কোনও পরিস্থিতি হয়নি।’

গতকালও (মঙ্গলবার) যে নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে পজিটিভিটির হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে যেসব নিউমোনিয়া আছে যার ডায়াগনোসিস হয়নি কোথা থেকে হলো, সেগুলোর নমুনাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরকম দুটি কেস পজিটিভ পাওয়ার পর দেখা গেছে, বিদেশ থেকে আসা মানুষের সংস্পর্শে যাওয়ার ইতিহাস ছিল। তাই এসব তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়েছে— এটা এখনও বলা যাবে না। তবে লিমিটেড স্কেলে দুটো জায়গায় এখনও সোর্স অব ইনফেকশটা আমাদের কাছে নিশ্চিত হয়নি।’