‘ছিদ্রান্বেষী মহল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করছে’

ওবায়দুল কাদেরকরোনা সংকটের বিষয়টি বিশ্লেষণ না করে কতিপয় ছিদ্রান্বেষী মহল জতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির জন্য তার সংবাদ সম্মেলন কেবল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন রেকর্ড করে। পরে লিখিত বক্তব্য আকারে ইমেইলে গণমাধ্যমকে পাঠানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে বরাবরের মতো দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ ও সংবেদনশীল হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ প্রদান করেছেন। দেশের জনগণের একজন হয়েই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আশা করি, দেশের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্ব গভীর সংকট ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতির অভিভাবক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বুধবার এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়ে জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রদত্ত দিকনির্দেশনাগুলো ছিল নির্মোহ, নির্মেদ ও আশা জাগানিয়া।

প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতির নেতা হিসেবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি ও বর্তমান প্রস্তুতিসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটের মুখে নিশ্চিত সমাধানে যেখানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস মোকাবিলাকে একটি যুদ্ধ ঘোষণা করে সবাইকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে এই সংকট মোকাবিলায় তার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।

কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মিথ্যার ফানুস ওড়াননি। তিনি অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিশ্রুতি দেননি। তিনি বাস্তবতার নিরিখে স্বাভাবিক জীবনের দরজায় কড়া নাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলার রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। সংকট নিরসনে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যেখানে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন সেখানেও তারা বিভেদের রাজনীতি করতে চায়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের একজন হয়েই গণদায়িত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে এই সংকটের মোকাবিলা করতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সহায়তার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন। এই পদক্ষেপগুলো আপৎকালীন এই সংকট মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বাজারে জোগান ও চাহিদার সামঞ্জস্য রেখে অর্থনীতির সচলতা কীভাবে ধরে রাখতে হয় সেটা শেখ হাসিনা বিগত ১০ বছরে তার সরকারের সময়ে করে দেখিয়েছেন।