শুক্রবার (২৭ মার্চ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলামের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্র সব মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে পাঠানো হয়েছে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিল্প কারখানা বন্ধের বিষয়ে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো। প্রয়োজনীয় কারখানা খোলা রাখলেও প্রত্যেক কর্মীকে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে অর্থাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ওই কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে সংগনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) এর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনাসহ শ্রমিকেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়টিও পত্রে উল্লেখ করা হয়।