নোয়াবের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এর সভাপতি এ কে আজাদ, নির্বাহী সদস্য মতিউর রহমান ও তারিক সুজাত। সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে ছিলেন এর সভাপতি মাহফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম। অ্যাটকো’র পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ সভাপতি ও এটকোর সিনিয়র সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবুও এই বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় কী করে সংকট নিরসন করা যায়। একইসঙ্গে আলোচনা হয় সরকার ও গণমাধ্যম যৌথভাবে কাজ করে কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে পারে। এই দুর্যোগ নিরসনে সরকার ও গণমাধ্যম একইসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, সার্বিকভাবে জনমনে গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তাই সরকার ও গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করবে।
বৈঠকে উপস্থিত গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ সবাই এই সংকট নিরসনে একজোট হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে গুজব প্রতিরোধে সবাই দৃঢ় ভূমিকা রাখবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই সংকটময় সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পত্রিকাগুলোর সার্কুলেশন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সংবাদকর্মী ও সংবাদ বিপণনকর্মী তথা হকাররা এ কারণে বড় সংকটে পড়েছে। টেলিভিশনগুলোতেও নানাবিধ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সংকট নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এ সময় মন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় নিয়ে আলাপ করেন। গণমাধ্যমগুলো যেসব সরকারি বিল পাবে সেগুলো দ্রুত প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেন ড. হাছান মাহমুদ।