করোনায় অর্থনীতির উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর ৪ উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকরোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে বিরূপ প্রভাব থেকে উত্তরণে সরকার চারটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৫ এপ্রিল) সকালে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

এই চারটি উদ্যোগ হলো, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা, ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়া, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা, অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব থেকে উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাৎক্ষণিক, স্বল্প ও দীর্ঘ-মেয়াদী এ তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা। সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘কর্মসৃজনকে’ মূলত প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণ এবং বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা হবে।’’

স্বল্প সুদে ঋণ প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ঋণের স্থিতি-জিডিপি’র অনুপাত অত্যন্ত কম (৩৪ শতাংশ) তাই অধিকতর সরকারি ব্যয় সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর কোনও চাপ সৃষ্টি করবে না। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখাই হলো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্য।’

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বর্তমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ হলো: বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, ‘বয়স্ক ভাতা’ এবং ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ভাতা’ প্রদান। কর্মসূচির আওতায় সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উপলক্ষে গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়ন করা।’

এই সময় জানানো হয়, অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সিআরআর ও রেপোর হার কমিয়ে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যা আগামীতেও প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য থাকবে সরবরাহজনিত কারণে যাতে মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে।