১৬ দেশ ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের আকাশপথে বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে ১৬ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে দেশের ভেতরে হেলিকপ্টার সেবার ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রবিবার (৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বেবিচক। স্পেশাল কার্গো ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট যথারীতি চলবে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধের সময়সীমা বেড়েছে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। আগে ১০ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার আরও ৬টি দেশকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। তবে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বেবিচক। বর্তমানে প্রতি রবিবার চীনে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত ১৬টি দেশ হচ্ছে বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ,তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্য। এসব দেশ থেকে কোনও ফ্লাইট বাংলাদেশে অবতরণ করতে পারবে না। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও এসব দেশে কোনও ফ্লাইট যেতে পারবে না।

অন্যদিকে যারা ইউরোপ ও ইরানে ১ মার্চ পর্যন্ত অবস্থান করেছেন তারা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। তবে ইউরোপ ও ইরানের নাগরিকদের মধ্যে যারা নিজেদের দেশের বাইরে ২৯ ফেব্রুয়ারির আগে পর্যন্ত অবস্থান করেছেন তারা যথাযথ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন।

কোনও বাংলাদেশি বিদেশ থেকে আসতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। কেউ এই সার্টিফিকেট নিয়ে না এলে দেশে আসার পর ১৪ দিন তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সার্টিফিকেট নিয়ে এলেও ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বিদেশি নাগরিকদেরও হেলথ সার্টিফিকেট ও ভিসা নিয়ে দেশে আসতে হবে।

এদিকে দেশের হেলিকপ্টার সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে ফ্লাইটের সংখ্যা কমাতে অনুরোধ করেছে বেবিচক। ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করর্পোরেট, মেডিক্যাল, ত্রাণ বিতরণসহ মানবিক প্রয়োজনীয় ফ্লাইট ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা না করার অনুরোধ করেছে বেবিচক। একইসঙ্গে ফ্লাইট শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হেলিকপ্টার জীবাণুমুক্ত করা এবং যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।