ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না: স্বাস্থ্য অধিদফতর

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ (ফাইল ফটো)স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এই অভিজ্ঞতা পৃথিবীর সবার কাছে নতুন। আমরা যদি কোনও ভুল করেই থাকি, সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এই ভুলের কোনও পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে যেসব পরীক্ষা হচ্ছে, সেগুলো বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে করা যায় কিনা, সে বিষয়েও অধিদফতর কাজ করছে।’

রবিবার (৫ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ((আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এছাড়া অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে যেসব পরীক্ষা হচ্ছে, সেগুলো বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে করা যায় কিনা, সে বিষয়েও অধিদফতর কাজ করছে। পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি পরীক্ষার বিকল্প পদ্ধতি প্রবর্তন করা যায় কিনা সে বিষয়ে কাজ করছে অধিদফতর।’

অধ্যাপক ডা. আজাদ বলেন, ‘আমরা গত তিন মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছি। শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে গেছে। আমরা চাই জাতির পাশে দাঁড়াবো। ক্লান্ত অনুভব করবো না। কিন্তু এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘকাল হয়, তাহলে কীভাবে এটা চালিয়ে যাবো, এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো, সে বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করছি। তাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তাহলেই দেশকে এই সংকেট থেকে মুক্তি দিতে পারবো।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ট্রাকে গাদাগাদি করে মানুষ আনা হলো। তাদের কত জনের মুখে মাস্ক ছিল, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। কাজেই যারা এই মানুষগুলোকে ট্রাকে তুলে আনলেন, তাদের দায়িত্ব ছিল এই এ বিষয়গুলো খেয়াল করা। প্রতিটি ঘটনাই আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে।’ সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তিসঙ্গত আচরণ করতে হবে, বলেন তিনি।

আবার এই মানুষগুলো কাজ না পেলে কী খাবে, কীভাবে চলবে—এই বিষয়গুলোও ভাবতে হবে। তাই যেকোনও বিষয় আগে থেকে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

এই মুহূর্তে প্রত্যেকের নিজের এবং অন্যকে রক্ষা করার দায়িত্ব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যিনি নিজেকে সুস্থ মনে করছেন, তার ভেতরে ভাইরাসটি রয়েছে কিনা আমরা জানি না। কাজেই প্রত্যেককে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। কেউ যেন ভাইরাসটি না ছড়ায়, আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে।’