বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২২ মার্চ যশোরের যৌনপল্লি লকডাউন করা হয়। এতে অসহায় হয়ে পড়েন পল্লির নারীরা। পরে যশোর জেলা প্রশাসক জেলা সমাজসেবা কার্যালয়কে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়। এতে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়।
এতে আরও বলা হয়, যৌনপল্লির ১৪২ জন নারীকে প্রতি সপ্তাহে জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি মসুর ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু, একটি সাবান, ৫০০ গ্রাম লবণ, ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ এবং নগদ ২০০ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া পাঁচ বছরের কম বয়সী ১১ জন শিশুকে দুধ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৩ মার্চ ২০২০ থেকে খাদ্যসহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহের খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করা হয়েছে। আজ সোমবার তৃতীয় সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা বলেন, ‘যতদিন করোনা দুর্যোগ থাকবে, ততদিন যৌনপল্লির দুস্থ নারীদের খাদ্যসহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।’