করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুশীলসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

১১

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তিতে এনজিওরা নানারকম সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে। আমি মনে করি, করোনাভাইরাসজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীলসমাজের সম্পৃক্ততা জরুরি।

ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সোমবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কাওরান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় এনজিও ব্র্যাক, ওয়াটার এইড, ডিএসকে, সাজেদা ফাউন্ডেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ওয়াশ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এনজিও ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরে অনেক প্রতিষ্ঠান করোনা সংকট মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোনও ব্যবস্থাপনা নেই। এখানে  বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষের কঠিন সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জাতীয় সংকট মোকাবিলা করার জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আপদকালীন একটি রূপরেখা এবং সেটআপ আছে। এখন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান করা জরুরি।’

এসময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে ১০টি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি কমিটিতে অন্তত একজন করে এনজিও প্রতিনিধি থাকবেন। কমিটিগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা, তা প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  মন্ত্রীকে  অবহিত  করা হবে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় দরিদ্র ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীকে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী যেমন প্রদান করা হবে, তেমনই প্রয়োজনে নগদ অর্থও প্রদান করা যাবে।’