বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে প্রবাসীদের সহযোগিতা দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর একজন পলাতক খুনি আব্দুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশা করেন বাকি ৫ খুনিকেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তবে এজন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রবাসীদের সহযোগিতা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করা হবে। এক খুনি ধরা পড়েছেন। তবে এখনও ৫ জন খুনি পলাতক। তাদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায়। আমাদের প্রত্যাশা, মুজিববর্ষেই বাকি খুনিদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এজন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দরকার দেশের ও প্রবাসী জনগণের সহযোগিতা।

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নুর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য আছে সরকারের কাছে।  তবে শরীফুল হক ডালিম, রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ ও খন্দকার আব্দুর রশিদ কোথায় আছে সেটি জানা নেই সরকারের।

খুনি আব্দুল মাজেদ ভারতে আছে বলে সবসময়ে সন্দেহ ছিল এবং এ বিষয়ে দিল্লির সঙ্গে সবসময়ে যোগাযোগ ছিল সরকারের। বাংলাদেশে অবস্থানরত মাজেদের পরিবারের বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল এদেশের গোয়েন্দা সংস্থা।

এছাড়া নুর চৌধুরী কানাডায় কোন স্ট্যাটাসে অবস্থান করছে সে বিষয়ে কানাডার সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে বলে জানে সরকার এবং তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ওই দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ গত ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এরপর তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।