মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় সিআরইসির কার্যালয়ে এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে পিবিআরএলপির পক্ষে সিআরইসির কন্ট্রাকটর্স প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াং কুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে এই সুরক্ষাসামগ্রী হস্তান্তর করেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষে কর্নেল ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লে. কর্নেল ডা. আব্দুল ওয়াবের কাছে এই সুরক্ষা সরঞ্জামাদি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় সিআরইসি দু’টি হাসপাতালকে ১০ হাজার ৮০টি এন৯৫ মাস্ক, ৪০ হাজার ডিসপোজেবল সার্জিক্যাল মাস্ক, এক হাজার মেডিক্যাল প্রটেকশন গাউন, ৪০০ মেডিক্যাল গগলস ও ৫০০টি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ওয়াং কুন বলেন, 'চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, দ্রুত ও নির্ভুল পরীক্ষা ও চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আমরা যে বৈশ্বিক মহামারির মুখোমুখি হয়েছি, তা শুধু সরকারের একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নব্বইর দশকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে সিআরইসি এবং সেই থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সহায়তা বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এ দেশের প্রতি সিআরইসির অঙ্গীকারের প্রতীক।'
ওয়াং কুন আরও বলেন, ‘কর্মরত অবস্থায় সিআরইসির কোনও কর্মী যেন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত না হন, এ জন্য একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।'
এ সময় কর্নেল ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং লে. কর্নেল ডাক্তার আব্দুল ওয়াব কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ায় সিআরইসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।