তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এই বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় সংবাদকর্মীরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। টেলিভিশন সাংবাদিকদের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সংবাদকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক সংবাদকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। সুতরাং তারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে তাদের সহায়তা করা যায়, স্বাস্থ্যসুরক্ষা দেওয়া যায়, সেবিষয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আলোচনায় জানতে পেরেছি অনেক টেলিভিশন থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। আমি সব টেলিভিশন চ্যানেলের পরিচালনা পর্ষদকে অনুরোধ জানাব, যাদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি এই পরিস্থিতিতে আপনাদের কোনও কারণে অসুবিধা হলেও তাদের বেতন-ভাতা একইসঙ্গে বকেয়া পরিশোধ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে সংবাদকর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা দেওয়া যায় এবং আজ যে ঝুঁকির মধ্যে তারা কাজ করছেন এটার ক্ষেত্রেও কী করা যায় সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি।’
করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা এবং জনগণের কাছে সঠিক সংবাদ পৌঁছানোর জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গুজবের বিরুদ্ধে মূলধারার মিডিয়াগুলো, টেলিভিশন ও পত্রিকা যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে এজন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজার নেতৃত্বে সেন্টার সচিব শাকিল আহমেদ এবং সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নজরুল কবীর ও শাহনাজ শারমিন বৈঠকে অংশ নেন।