রায় কার্যকরের মাধ্যমে জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়েছে: আইনমন্ত্রী

 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়াকে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘রায় কার্যকর হওয়া অবশ্যই স্বস্তির। বঙ্গবন্ধুর আরও এক খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটা রক্ষা করা হয়েছে।’  শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।আনিসুল হক আরও বলেন, এরা হচ্ছে প্রকৃত খুনি, এদের সমাজে রাখাই উচিত নয়। আমরা মৃত্যুদণ্ড যে কার্যকর করতে পেরেছি, তা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যারা (বঙ্গবন্ধুর খুনি) দেশের বাইরে আছেন আমরা তাদের সবাইকে (সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলার রায় অনুসারে) দেশে ফিরিয়ে এনে কার্যকর করবো।’

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিন বিকালেই সেই মৃত্যু পরোয়ানার ফাইল কারাগারে পৌঁছায়। সন্ধ্যায় মাজেদ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাতেই সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন পাঠানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিলে সে ফাইল আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কারাগারে পৌঁছানো হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগমসহ পাঁচ স্বজন শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করেন।