পুরো দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে এখন পুরো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সরকারিভাবে এ বিষয়টা স্বীকার করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পুরো দেশকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। 

ওই ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতে করোনা ভাইরাস ( কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পরের মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। বিশ্বে এ রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, এর একমাত্র প্রতিষধক হচ্ছে পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা। যেহেতু একে অপরের সঙ্গে মেলামেলা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় সে কারণেই বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। তাই সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১১ ( ১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো।

পুরো দেশকেই করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সংক্রমিত এলাকার সবার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে, অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। আদেশে আরও বলা হয়, এক এলাকার থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না।

এ আাদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বলা হয় ঘোষণাতে।

এছাড়াও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সরকারি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে। এ আদেশ আজ বৃহস্পতিবার থেকে জারি হলো বলেও জানানো হয় ঘোষণাতে।

আজ কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় ৩৪১ জন।  এর ফলে শনাক্তের সংখ্যা এক লাফে দেড় হাজার অতিক্রম করে। দেশে এখন মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৫৭২ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ জনের  মৃত্যু হওয়ার কথা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।  আর এ নিয়ে করোনাতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো ৬০ জনের।