বঙ্গবন্ধু তাঁর এই ভাষণে দেশের শ্রমিক ও নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। এবারের মে দিবসে সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে ও সব শিল্পাঞ্চলে লাল পতাকা ওড়ানো হয় এবং অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও সংগীতানুষ্ঠান। বেতার-টেলিভিশনে মে দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। সকাল বেলা পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় শ্রমিক লীগের কুচকাওয়াজ।
মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এদিন সকাল আটটায় পল্টন ময়দানে লাল বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাল বাহিনীর প্রধান ও জাতীয় পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান সালাম গ্রহণ করেন। এর আগে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে লাল বাহিনীর সদস্যরা পল্টন ময়দানে এসে জমায়েত হন। আব্দুল মান্নান শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তারা শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের পথে যেকোনও বাধা দূর করে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিতে বদ্ধপরিকর, এই মর্মে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর তারা কুচকাওয়াজ করে গণভবনে গেলে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি খোলা জিপে দাঁড়িয়ে তাদের সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আলী সরদার। সেখানে সিরাজুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের শ্রমিক জমায়েত অনুষ্ঠিত হয় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে। এছাড়া বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে।