‘এমপিওভুক্তিতে ঘুষ-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না’

দুর্নীতি দমন কমিশননতুন এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিতে কোনও প্রকার ঘুষ-দুর্নীতি-হয়রানি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার (৫ মে) দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ)  প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন এমপিওভুক্তিতে সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নামে-বেনামে দুর্নীতি দমন কমিশনে এ মর্মে অভিযোগ জানাচ্ছেন যে, কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে কোনও কোনও উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস এবং আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসসমূহের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কাছে অনৈতিক অর্থ দাবি করছেন। কমিশনের গোয়েন্দা অনুবিভাগ এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করেছেন। 

এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুদকের গোয়েন্দা অনুবিভাগ, সব সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) এবং বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক এক বার্তায় নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিকরণে কোনও প্রকার দুর্নীতি-অনিয়ম-হয়রানি কমিশন সহ্য করবে না। সজেকার কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ এই এমপিওভুক্তিকরণ কার্যক্রম নিবিড় নজরদারি করবেন। কোনও অবস্থাতেই কোনও অযোগ্য শিক্ষক যেন ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হতে না পারেন। আবার কোনও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট অফিসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী যাচাই-বাছাইয়ের নামে ঘুষ গ্রহণ করার সুযোগও যেন না পায়। এ কার্যক্রম এমনভাবে মনিটরিং করতে হবে, যাতে কারও পক্ষে  ঘুষ দেওয়া এবং ঘুষ নেওয়ার সুযোগ না থাকে। প্রয়োজনে ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে ঘুষ নেওয়া যেমন ফৌজদারি অপরাধ, তেমনি ঘুষ দেওয়াও একই জাতীয় (সমান) অপরাধ। এ অপরাধে যারাই সম্পৃক্ত হবেন তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।'

আরও পড়ুন- নতুন এমপিওভুক্ত কারিগরি ও মাদ্রাসার তালিকা প্রকাশ