ত্রাণদুর্নীতি বন্ধে দুদক জিরো টলারেন্স কৌশল বাস্তবায়ন করছে

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদদুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ত্রাণসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৫টি মামলা করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানা গেছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের একটি বিশেষ প্রতিবেদন থেকে।

মঙ্গলবার (১২ মে) দ্বিতীয়বারের মতো দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিবেদনটি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদকে অবহিত করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন খাদ্যবান্ধব কার্যক্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের মোট ১৫টি মামলা করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‍‘দুদক কর্মকর্তারা ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে। ত্রাণ কার্যক্রমের শুরুতেই আত্মসাতের পরিণতি সম্পর্কে কমিশন থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। গণমাধ্যমও কমিশনের বক্তব্য ব্যাপকভাবে প্রচার করে। তারপরও কিছু দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা বলেছিলাম এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করবে কমিশন। ইতোমধ্যে সরকারি ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের বেশ কিছু মামলা হয়েছে। এ জাতীয় অপরাধে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনও পরিচয় কমিশনের নিকট ন্যূনতম গুরুত্ব বহন করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‍‘অন্যান্য মামলার মতোই ত্রাণ আত্মসাতের প্রতিটি মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে একটি বিশেষ কমিটি বা টাস্কফোর্স গঠন করে এসব মামলার তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে।’